প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হঠাৎ করে দুপুর তিনটার দিকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে ওঠে। এরপর পরপরই শুরু হয় বিকট শব্দে একের পর এক বজ্রপাত। কেঁপে ওঠে পুরো মনপুরা উপজেলা। এ সময় কলাতলী ৪নং ওয়ার্ডের রমেশ চন্দ্র দাসের কাকড়ার খামারে কাজ করা অবস্থায় তার পুত্র কাঁকড়া চাষী জীবনচন্দ্র দাশের মৃত্যু হয়। একইভাবে উপজেলার সাকুচিয়া, হাজিরহাট সহ আরো কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১১ টি গরু ও একটি মহিষের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আহসান কবির বলেন, মনপুরার ইতিহাসে এরকম বজ্রপাত আর কখনই হয়নি। তিনটা থেকে শুরু হওয়া চারটা পর্যন্ত টানা এক ঘন্টার বজ্রপাতে এক ব্যক্তি সহ ১১ টি গরু ও একটি মহিষের মৃত্যু হয়েছে। যা মনপুরার ইতিহাসে অতীতে কখনই এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। পাশাপাশি বহু পরিবারের শিশুদের শ্রবণশক্তিরও ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।